সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অ্যান্টার্কটিকা চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের একজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মাহতাব উচ্ছা, নিজের ফেসবুক পেজে হুমকিমূলক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন।
হুমকিমূলক পোস্টের বিবরণ
প্রথম পোস্টে দেখা যায়, ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের মুখাবয়বের একটি কার্টুন অঙ্কন করে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে— “Kill public figures who are against your marriage rights”। ছবিতে একটি ধারালো কুড়াল ও রক্তাক্ত অবস্থা চিত্রিত করা হয়েছে, যা স্পষ্টত হত্যার হুমকির ইঙ্গিত বহন করে।
দ্বিতীয় পোস্টে ড. আসিফ মাহতাব উচ্ছার মুখাবয়ব বিচ্ছিন্ন মাথার আকারে অঙ্কন করা হয়েছে। সেই মাথাকে ফুটবলের মতো লাথি মারার দৃশ্যও চিত্রিত করা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে— “Play football with the severed head of public figures who are against your legal rights”। অঙ্কনে অন্তত দুইজন ব্যক্তিকে লাথি মারার ভঙ্গিতে দেখা যায়।
অভিযুক্তের পরিচয়পত্রের তথ্য
পরে সামাজিক মাধ্যমে অভিযুক্তের একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তার নাম সাফওয়ান চৌধুরী রেবিল, পিতার নাম সৈয়দুজ্জামান চৌধুরী এবং মাতার নাম দলি চৌধুরী। জন্ম তারিখ ১০ অক্টোবর ২০০২।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া
ড. আসিফ মাহতাব উচ্ছা তার পোস্টে মন্তব্য করে লেখেন—
> “আমাদেরকে ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামীরা প্রকাশ্যে মৃত্যু হুমকি দিলে এটা কোনোদিনই খবরে আসবে না। টকশো উপস্থাপকরা এ নিয়ে কথা বলবেন না। এখন কল্পনা করুন, যদি কোনো মুসলিম যুবক কোনো সনাতন বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর বিরুদ্ধে একই কাজ করতো, তাহলে প্রতিক্রিয়া কেমন হতো—তা সবার জানা।
এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর যখন বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্র যদি তার নির্ধারিত আইন প্রয়োগ না করে, তাহলে জনগণ নিজেরাই আইন প্রয়োগ করবে’—যা মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষা—শুধু এই কথা বলার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হয়েছে, অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে।
কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামী অপরাধীদের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা হয় না। করা হবে না। কারণ প্রভাবশালী উপদেষ্টারা রয়েছেন, যারা প্রকাশ্যে এসব মতবাদ ছড়ালেও গ্রেপ্তার না হয়ে উপদেষ্টা হতে পারেন। এই কারণেই বলা হয়—মুসলমানরা সংখ্যায় মেজরিটি হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সংখ্যালঘু।”
পুলিশের বক্তব্য
এ ঘটনার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
For any inquires regarding news and articles contact us only email info@thelocalnews24.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫ thelocalnews24.com