বাংলাদেশের গালফ হেলথ কাউন্সিল (GHC) অনুমোদিত কয়েকটি মেডিকেল সেন্টারে ভুয়া স্বাস্থ্যসনদ ইস্যুর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু অসাধু ব্যক্তি সেন্টারগুলোর সফটওয়্যার সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আসল ফলাফল পরিবর্তন করছে এবং ভুয়া ‘ফিট সার্টিফিকেট’ তৈরি করছে।
এই ধরণের জালিয়াতি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মপ্রার্থী বাংলাদেশিদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ, এসব স্বাস্থ্যসনদ গালফ হেলথ কাউন্সিলের মাধ্যমে যাচাই হয়, এবং ভুয়া সনদ ধরা পড়লে প্রার্থীকে শুধু ফেরত পাঠানোই নয়, কখনও কখনও স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধও করা হতে পারে।
বিভিন্ন মেডিকেল সেন্টারের মালিকরা বলছেন, তারা নিজেরাই এখন হুমকির মুখে রয়েছেন। কারণ এই হ্যাকিং-এর ফলে প্রকৃত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় যারা পরীক্ষা করছেন, তাদের উপরও এখন প্রশ্ন উঠছে।
বিষয়টি এখন তদন্তাধীন রয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রবাসে কর্মরত ও নতুন কর্মপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করেছে—যাতে তারা কেবলমাত্র স্বীকৃত ও যাচাইযোগ্য সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।