মিয়ানমারে শান্তি ও মানবিক সহায়তার লক্ষ্যে পাঁচ দেশের যৌথ মিশন, কক্সবাজারের শরণার্থী সংকট সমাধানে নতুন আশার আলো
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দীর্ঘদিনের মানবিক সংকট রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড যৌথভাবে মিয়ানমারে শান্তি ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাতুক সেরি মোহাম্মদ হাসান কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে থাকা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি দেশের নয়, এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”
কক্সবাজারে বর্তমানে এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে, যার মধ্যে গত ১৮ মাসে আরও প্রায় ১.৫ লাখ নতুনভাবে এসেছে। এই ভিড় শিবিরে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংকটকে আরও গভীর করেছে। বাংলাদেশ আশা করছে, এই মিশনের মাধ্যমে অন্তত একটি পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে, যেখানে রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরতে পারবেন।
মিশনের মূল লক্ষ্য:
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা
শরণার্থী শিবিরে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি
পাচার ও অপরাধ রোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা
এ সময় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, নবায়নযোগ্য শক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) মিশনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, “যে কোনো আঞ্চলিক উদ্যোগ যা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করবে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া এ মিশন সফল হওয়া কঠিন হবে।